ইউটিউবার হতে গেলে যেগুলো অবশ্যই জানা দরকার || Youtube Related Questions and Answers

ইউটিউবার হতে গেলে যেগুলো অবশ্যই জানা দরকার || Youtube Related Questions and Answers

কোনো টাকা ইনভেস্ট না করে যদি সব থেকে কম সময় এর মধ্যে কোটিপতি হতে চাও তার জন্য সবথেকে সেরা প্ল্যাটফর্ম হল ইউটিউব। ইউটিউব তোমায় কোন জায়গায় নিয়ে যাবে তা তুমি ধারণাও করতে পারবে না। এই প্লাটফর্মে একটু সময় দিয়েই যদি নিজের ক্রিয়েটিভিটি অন্যের কাছে তুলে ধরতে পারো জীবনের একটা আলাদা অ্যাচিভমেন্ট পাবে।

ইউটিউবার হতে গেলে যেগুলো অবশ্যই জানা দরকার || Youtube Related Questions and Answers

এবার ইউটিউব এ নতুন চ্যানেল শুরু করতে হলে সবার আগে Niche টা দেখতে হবে অর্থাৎ তোমার মধ্যে কি ক্রিয়েটিভিটি আছে? কোন টপিকের উপর ভিডিও বানিয়ে তুমি লোকের কাছে পরিবেশন করবে? এগুলো যদি ঠিক থাকে তাহলেই তুমি ইউটিউবে চ্যানেল শুরু করতে পারবে।

এবার কথা হচ্ছে, ইউটিউব চ্যানেল খোলার আগে বা ভিডিও পোস্ট করতে করতে অনেক প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয় আমাদের সেই প্রশ্নের সমাধান গুলোই আজ একদম সরল সহজ ভাবে আলোচনা করব।


ইউটিউব করতে হলে যে বিষয়গুলো জানা দরকার :

১. ইউটিউব থেকে ইনকাম করতে হলে কি কি করতে হয় ?

ইউটিউব থেকে বিভিন্ন উপায়ে ইনকাম করা যায়, শুধু ভিডিও আপলোড করলেই যে ইউটিউব থেকে ইনকাম করতে পারবে তা নয়। বিভিন্নভাবে ইউটিউব থেকে ইনকাম করতে পারবে। জানতে চাইলে এই ব্লগটি পড়তে পারো (ইউটিউব থেকে টাকা আয় ।। Earn Money From YouTube)

এখন শুধু ভিডিও আপলোড করলেই কি ইউটিউব থেকে পেমেন্ট আসবে, না সাথে অন্য কিছু করতে হবে। ভিডিও আপলোড করলেই ইনকাম হবে না তার জন্য ইউটিউব এর মাইলস্টোন রয়েছে, যেটাকে বলা হয় ইউটিউব পার্টনার প্রোগ্রাম। ভিডিও আপলোডের সাথে সাথে তোমাকে ইউটিউব পার্টনার প্রোগ্রামের সাথে যুক্ত হতে হবে। কিভাবে যুক্ত হবে?

লং ভিডিও : যদি তুমি তোমার চ্যানেলে লং ভিডিও বানিয়ে থাকো তাহলে তুমি ইউটিউব পার্টনার প্রোগ্রামের সাথে তখনই যুক্ত হতে পারবে যখন তুমি তোমার চ্যানেলে ১০০০ সাবস্ক্রাইবার সাথে শেষ এক বছরের মধ্যে ৪০০০ ঘন্টা ওয়াচ টাইম পূরণ করতে পারবে। 

সাথে ইউটিউবের গাইডলাইন্স, কপিরাইট পলিসির উপরেও নজর রাখতে হবে। আর এগুলো সঠিকভাবে সম্পূর্ণ করতে পারলে তুমি তোমার চ্যানেলকে মনিটাইজেশনের জন্য রিভিউ-এ পাঠাতে পারবে। ইউটিউব থেকে যদি কোন বাধা ছাড়াই তোমার চ্যানেল অ্যাকসেপ্ট করে নেয় তাহলে তুমি ইউটিউব পার্টনার প্রোগ্রামের সাথে যুক্ত হয়ে যাবে। 

এরপর তোমার ভিডিওতে অ্যাড চালু হয়ে যাবে এবং তুমি নিজের ইউটিউব চ্যানেল থেকে ইনকাম জেনারেট করতে পারবে।

শর্টস ভিডিও : চ্যানেলে শুধু শর্টস ভিডিও বানিয়েই যদি ইউটিউব পার্টনার প্রোগ্রামের সাথে যুক্ত হতে চাও তাহলে তোমাকে শর্ট ভিডিও থেকে তোমার চ্যানেলে ১০০০ সাবস্ক্রাইবার এবং শেষ ৯০ দিনে ১০ মিলিয়ন ভিউজ সম্পূর্ণ করতে হবে। 

এই মাইলস্টোন কমপ্লিট করলেই তোমার শর্টস চ্যানেলও ইউটিউব পার্টনার প্রোগ্রামের সাথে যুক্ত হয়ে যাবে এবং শর্টস চ্যানেল থেকেও ইনকাম শুরু করতে পারবে।


২. ইউটিউবে কতগুলো ভিডিও আপলোড করলে ভাইরাল হয়? 

প্রত্যেক নতুন ইউটিউবারের মনে এই প্রশ্নটা জুড়েই থাকে যে YouTube এ কতগুলো ভিডিও আপলোড করলে ভিডিও ভাইরাল হয়। এর উত্তর খুবই সহজ। তুমি যদি দু'চারটে ইউটিউব চ্যানেল দেখো বুঝতে পারবে কেউ চ্যানেলে দশটা ভিডিও আপলোড করে ১০ লাখ সাবস্ক্রাইবার কমপ্লিট করে নিয়েছে আবার কেউ দশটা ভিডিও আপলোড করেও ১০০০ সাবস্ক্রাইবারই কমপ্লিট করতে পারছে না। 

এখানে খেলাটা হচ্ছে কোয়ান্টিটির নয় কোয়ালিটির। তুমি যেমন খুশি ভিডিও বানিয়ে ইউটিউবে পোস্ট করছো যার প্রতি অন্যদের কোন ইন্টারেস্টই নেই। তাহলে যতই ভিডিও আপলোড করো কোনোদিনই ভিডিও ভাইরাল হবে না। কিন্তু যদি তুমি ভিডিওর কোয়ান্টিটির দিকে নজর না দিয়ে যদি ভিডিওর কোয়ালিটির দিকে নজর দাও। 

এমনভাবে ভিডিও বানাও যাতে অন্যদের দেখার ইন্টারেস্ট দিনের দিন বাড়তেই থাকে তাহলে খুব সহজে তোমার ভিডিও ভাইরাল হবে। এরকম কোনও নিয়ম নেই ৫০ বা ৬০ টা ভিডিও আপলোড করলে ভিডিও ভাইরাল হতে শুরু হবে। পুরোটা নির্ভর করছে তোমার কনটেন্ট এর ওপর। তাই আজ থেকে নিজের বেস্টটা দেওয়ার চেষ্টা করো।


৩. ইউটিউবে কোন সময় ভিডিও আপলোড করলে ভিডিওতে বেশি ভিউ আসবে?

আচ্ছা এমন কোন পারফেক্ট সময় রয়েছে, যে সময়ে ভিডিও আপলোড করলেই ভিডিওতে প্রচুর পরিমাণে ভিউ আসবে। না এরকম কোন পারফেক্ট সময় নেই, যে সময় ভিডিও আপলোড করলে বেশি ভিউস আসবে। 

কিন্তু তুমি তোমার চ্যানেলের জন্য পারফেক্ট সময়ে নিজেই নির্ধারিত করতে পারবে। আর ওই সময়ে ভিডিও আপলোড করলে আগের থেকে ভিউস বেশি আসবে। 

এর জন্য তোমাকে চ্যানেলে কয়েকটা ভিডিও আপলোড করতে হবে এরপর YouTube স্টুডিও থেকে Analytics অপশনে গিয়ে অডিয়েন্স রিটেনশন অপশনে যেতে হবে। এবার তুমি দেখতে পাবে তোমার চ্যানেলে ভিডিও আপলোড করার জন্য পারফেক্ট টাইম টেবিল। 

এখানে বাঁদিকে সময় দেওয়া রয়েছে আর ওপরের দিকে দিন রয়েছে। কোন দিন কোন সময় তোমার চ্যানেলে ভিউয়ার্সরা অ্যাক্টিভ থাকে সেটা একটা ডিপ কালার দিয়ে বোঝানো থাকে আবার কোন সময় ভিউয়ার্সরা কম অ্যাক্টিভ থাকে সেটা হালকা কালার দিয়ে বোঝানো থাকে।

এখান থেকেই তুমি তোমার চ্যানেলের জন্য পারফেক্ট টাইম খুঁজে পাবে। বা Naturally নিজেও একটা টাইম বের করতে পারো। আমরা সাধারণত কোন সময় অ্যাক্টিভ থাকি? বেশিরভাগ দিনের শেষে অর্থাৎ সন্ধ্যা ৬ টার পর থেকে রাত ১২ টা, ২ টো, ৩ টে পর্যন্ত। 

তো আমাদেরকে এই সময়ের মধ্যেই ভিডিও আপলোড করতে হবে। এই সময়েই অ্যাক্টিভ ভিউয়ার্স পাওয়া যায় যেখান থেকে আমাদের চ্যানেলে একটা ভালোমতো ভিউস আসবে।


৪. শর্টস ভিডিও থেকে কি চ্যানেল মনিটাইজেশন করা যায়?

চ্যানেলে শুধুমাত্র শর্টস ভিডিও আপলোড করেই যদি ইনকাম করতে চাও তাহলে তোমার প্রথমে দরকার হবে চ্যানেলের মধ্যে ১০০০ সাবস্ক্রাইবার কমপ্লিট করা এবং শেষ তিন মাসে ১০ মিলিয়নের ভিউস কমপ্লিট করা। এগুলো কমপ্লিট করলেই শুধুমাত্র শর্টসের জন্য চ্যানেল মনিটাইজেশন করতে পারবে এবং ইনকামও জেনারেট করতে পারবে। 

এখন যদি খেয়াল করো ইউটিউবের লং ভিডিওর থেকে শর্টস ভিডিওর ভিউয়ারস এবং ক্রিয়েটার অনেক বেড়ে গেছে। কারণ নিয়মিত শর্টস আপলোড করলে চ্যানেল অনেক তাড়াতাড়ি গ্রো করে। ভিডিওতে অনেক বেশি ভিউ আসে সাথে চ্যানেলে সাবস্ক্রাইবারও তাড়াতাড়ি বাড়তে থাকে। এবং ইউটিউব থেকে ইনকাম শুরু হয়ে যায়।


৫. ইউটিউব চ্যানেলে ১০০০ সাবস্ক্রাইবার কিভাবে তাড়াতাড়ি পূরণ করবে?

চ্যানেল মনিটাইজেশন করার জন্য দরকার হয় ১০০০ সাবস্ক্রাইবার। এই ১০০০ সাবস্ক্রাইবার শুনতে যতটা সহজ মনে হয় করতে ততটাই কঠিন। আবার এই ১০০০ সাবস্ক্রাইবার একবার চ্যানেলে কমপ্লিট হয়ে গেলে চ্যানেল আরও গ্রো হতে শুরু করে দেয় আর সাবস্ক্রাইবার বাড়তেই থাকে। 

তাই আজকে জানবো ইউটিউব চ্যানেলে এই প্রথম ১০০০ সাবস্ক্রাইবার টাই কীভাবে তাড়াতাড়ি পূরণ করবো? সবার প্রথমে যখন চ্যানেল ওপেন করছো তখন এমন ক্যাটাগরি সিলেক্ট করো যে ক্যাটাগরি মানুষ পছন্দ করে বেশি। এমন টাইপের কন্টেন্ট বানাও যেগুলো ট্রেন্ডিং এ আসে। 

আর তুমি যদি ট্রেন্ডিং ফলো করে নিজের কন্টেন্ট বানাও তাহলে একমাসও লাগবে না চ্যানেলে ১০০০ সাবস্ক্রাইবার পূরণ করতে। ফেসবুক, ইউটিউব বেশি করে চেক করো কোন টপিক, কোন কন্টেন্ট এখন ট্রেন্ডিং চলছে সেগুলোর উপর ভালো করে কন্টেন্ট বানাও। এতে তোমার ভিডিওতে ভালো ভিউস আসতে শুরু করবে আর চ্যানেলে সাবস্ক্রাইবার। 

তাছাড়া নিজের বানানো ভিডিও গুলো ফেসবুক প্রোফাইল, ফেসবুক পেজেও শেয়ার করতে পারো। এভাবে নিজের ইউটিউব চ্যানেলে ১০০০ সাবস্ক্রাইবার তাড়াতাড়ি পূরণ করতে পারবে।


৬. ইউটিউব চ্যানেলে ৪০০০ ঘন্টা ওয়াচ টাইম কিভাবে পূরণ করব? 

চ্যানেলে ৪০০০ ঘন্টা ওয়াচ টাইম পূরণ করতে হলে সবার প্রথমে যে কোন একটা ভিডিও ভাইরাল করা শিখতে হবে। একবার কোনো ভিডিও ভাইরাল হয়ে গেলে অর্থাৎ ভিডিওতে ৫ লাখের বেশি ভিউস চলে আসলে একটা ভিডিও দিয়েই পুরো চ্যানেলের ৪০০০ ঘন্টা ওয়াচ টাইম পূরণ করতে পারবে। 

এবার ভিডিওতে ৫ লাখের বেশি ভিউস নিয়ে আসবে কি করে? কিভাবে বা ভিডিও ভাইরাল করবে? 

দেখো ভিডিও ভাইরাল যতটা কঠিন ঠিক ততটাই সহজ। একটু অন্যরকম ভাবে চললেই ঠিক ভিডিও ভাইরাল করতে পারবে। এর জন্য আগের প্রশ্নতেই বলেছিলাম ট্রেন্ডিং ফলো করতে। ফেসবুক, ইউটিউব ছাড়াও আরো যে যে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম গুলো রয়েছে সেখানে ভিডিও দেখো। কি ট্রেন্ডিংয়ে চলছে সেগুলো খোঁজ করো। 

ট্রেন্ডিং টপিকের ওপর লং ভিডিও ৫ থেকে ১০ মিনিটের বানাতে শুরু করো। ট্রেন্ডিং টপিকের ওপর যত বেশি ভিডিও বানাবে তত ভিডিও ভাইরাল হওয়ার চান্স বেশি থাকবে। আর আগেই বলেছি চ্যানেলে যদি একটা ভিডিও থেকেই ৪-৫ লাখের ভিউস চলে আসে ৪০০০ ঘন্টার ওয়াচ টাইম এমনিতেই পূরণ হয়ে যাবে।


৭. এক বছরের মধ্যে ইউটিউব চ্যানেলে ৪০০০ ঘন্টা ওয়াচ টাইম পূরণ না হলে কি হবে?

ইউটিউব স্টুডিওতে মনিটাইজেশন অপশনে গেলে আমরা আমাদের চ্যানেলকে মনিটাইজেশন করার জন্য একটা মাইলস্টোন দেখতে পাই। যেটা হলো ১০০০ সাবস্ক্রাইবার আর শেষ ৩৬৫ দিনে ৪০০০ ঘন্টার ওয়াচ টাইম। 

এবার কথা হচ্ছে, ১০০০ সাবস্ক্রাইবার তো ঠিক আছে কিন্তু এখানে যে উল্লেখ আছে শেষ ৩৬৫ দিন অর্থাৎ এক বছরে ৪০০০ ঘন্টার ওয়াচ টাইম পূরণ করতে হবে। যদি এক বছরর মধ্যে চ্যানেলে ৪০০০ ঘন্টার পূরণ করতে না পারি। 

তাহলে কি চ্যানেল মনিটাইজেশন করতে পারবো না? এই প্রশ্নটা যত নতুন ইউটিউবার রয়েছে সবার মনেই ঘুরতে থাকে। আমার মনে হয় না আজকের পর থেকে আর কোন সমস্যা থাকবে। 

এই ৪০০০ ঘন্টার রহস্যটা চলো ভালোভাবে বুঝিয়ে বলছি। দেখো প্রথমেই বলি ইউটিউব কিন্তু এখানে একবারও বলেনি যে এক বছর বা ৩৬৫ দিনের মধ্যেই চ্যানেলে ৪০০০ ঘন্টার ওয়াচ টাইম পূরণ করতে হবে। ইউটিউব যেটা বলেছে শেষ এক বছরে অর্থাৎ শেষ ৩৬৫ দিনে চ্যানেলে ৪০০০ ঘণ্টার ওয়াচ টাইম পূরণ করতে হবে। 

অর্থাৎ তুমি কবে চ্যানেলটা বানিয়েছো তখন থেকে ৩৬৫ দিন ইউটিউব একবারও দেখবেনি। ইউটিউব দেখবে তোমার বর্তমান সময় থেকে আগের ৩৬৫ দিনের ভেতরে পূরণ হয়েছে কিনা। 

সহজ ভাবে বলতে গেলে মনে করো তুমি ২০২০ এর জানুয়ারি তে চ্যানেল শুরু করেছিলে তার মানে এই নয় তোমাকে ২০২১শে জানুয়ারির আগেই পূরণ করতে হবে। এই শেষ ৩৬৫ দিন মানে হল মনে করো তুমি এই বছর ২০২৪ শে জুন মাসে ৪০০০ ঘন্টা পূরণ করেছো। 

ইউটিউব এই ২০২৪ এর জুন মাস থেকে আগে আগে দেখবে ২০২৪ এর মে মাস, এপ্রিল, মার্চ, ফেব্রুয়ারি। এইভাবে ১২ টা মাস বা ৩৬৫ দিন আগে দেখবে যে তোমার এই ৪০০০ ঘন্টার ওয়াচ টাইমটা এর ভেতরে পূরণ হয়েছে কিনা। যদি না হয় আবার পরের মাস থেকে আগে আগে চেক করতে থাকবে। 

এইভাবে যখন তোমার যেকোনো ১২ মাসের মধ্যেই ৪০০০ ঘন্টা পূরণ হলেই হয়ে যাবে। তাই এরকম কোন নিয়ম নেই যে এক বছরের মধ্যেই ৪০০০ ঘন্টার ওয়াচ টাইম পূরণ করতে হবে। যখন খুশি পূরণ করতে পারো।


৮. ইউটিউব চ্যানেল মনিটাইজেশনের পর পুরোনো ভিডিওগুলো থেকেও কি ইনকাম হবে?

চ্যানেল মনিটাইজেশন পাওয়ার পর আমাদের পুরনো ভিডিও গুলো থেকেও কি ইনকাম হবে? এই প্রশ্নটাও অনেকের মনে থাকে। এর উত্তর হল হ্যাঁ। চ্যানেল যখন মনিটাইজেশন হয়ে যাবে চ্যানেলে আপলোড করা নতুন ভিডিও গুলোতে তো ইনকাম হবেই সাথে চ্যানেল মনিটাইজেশনের পর পুরোনো ভিডিও গুলো থেকেও যা ভিউস আসবে সেগুলো থেকেও ইনকাম হবে। 

অর্থাৎ সহজ ভাষায় বলতে গেলে চ্যানেল মনিটাইজেশনের আগে ভিডিওতে যা ভিউস এসেছিল সেগুলো থেকে কোন ইনকাম হবে না। চ্যানেল মনিটাইজেশন হওয়ার পর এবার যে ভিউ গুলো আসবে সেটা নতুন ভিডিও গুলো থেকেই আসুক বা পুরনো ভিডিও গুলো থেকেই আসুক সব থেকে ইনকাম জেনারেট হবে।


৯. শর্টস ভিডিও কিভাবে ভাইরাল করবে? 

ইউটিউবে লং ভিডিও ভাইরাল করা যতটা কঠিন শর্টস ভিডিও ভাইরাল করা অনেক সহজ। তুমি যে কোনো সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে চলে যাও দেখবে মানুষজন লং ভিডিওর থেকে শর্টস দেখতেই বেশি পছন্দ করছে। ইউটিউবে শর্টস ভিডিও ভাইরাল করার ট্রিক্সটা অনেক সহজ। 

যখন শর্টস এডিট করছো প্রথম ৫ সেকেন্ডের মধ্যে ভিডিওতে এমন একটা পার্ট রাখো যাতে করে তোমার পুরো শর্টস ভিডিওটা দেখতে ভিউয়ার্সরা বাধ্য হবে। আর নিয়মিত তোমাকে শর্টস আপলোড করতে হবে একটা সময় মেনটেন করে। কোন সময় মানুষজন বেশি অ্যাক্টিভ থাকে সেই সময় শর্টস আপলোড করতে হবে। 

এভাবে নিয়মিত সময় মেনটেন করে শর্টস আপলোড করতে থাকলে বেশিরভাগ ভিডিও ভাইরাল হতে থাকবে কারণ শর্টস ভিডিও সবথেকে তাড়াতাড়ি গ্রো হয় ।


১০. ইউটিউব আমাদের ১০০০ ভিউতে কত টাকা দেয়? 

ইউটিউব আমাদের ভিডিওর ভিউয়ের পিছনে সমান টাকা দেয় না। কারো ভিডিওতে ১০০০ ভিউতেও এক ডলার দিয়ে দেয় কারও আবার ৫০০০ ভিউস এ এক ডলার। যেটা নির্ভর করে তোমার কনটেন্ট কোন ক্যাটাগরির? কিরকম অ্যাড শো করছে তোমার ভিডিওর উপর। 

যেমন টেক চ্যানেল, এডুকেশন চ্যানেল, গেমিং, ব্লগিং এগুলোতে একটু বেশি ইনকাম দেয় ইউটিউব আমাদের। আমার পার্সোনাল টেক চ্যানেলে দুটো ভিডিও ৫ লাখের উপর ভিউ হয়েছে। একটা ভিডিও থেকে ইউটিউব আমাকে দিয়েছে পাঁচ লাখ ভিউয়ের উপর ৫৫ হাজার টাকা আর একটা পাঁচ লাখ ভিউয়ের উপর ভিডিওতে দিয়েছে ১৪ হাজার টাকা। এবার তোমরাই বুঝতে পারবে ইউটিউব আমাদের সমান টাকা দেয় না। 

ইউটিউবার হতে গেলে যেগুলো অবশ্যই জানা দরকার



Trending Facebook Status Video Editing With Lo-fi Lyrics in Inshot Material

এই ভিডিওটির মেটেরিয়াল ডাউনলোড করতে চাইলে এখানে ক্লিক করো Download )


আজকে আমরা জানলাম YouTube সংক্রান্ত ১০ টা গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। এরকম বহু প্রশ্ন বহু ক্রিয়েটারদের মনে হয়ে থাকে। তোমারও মনে যদি এর বাইরে কোন ইউটিউব নিয়ে প্রশ্ন থাকে তাহলে কমেন্টে জানাতে পারো বা আমাদের মেইলও করতে পারো। আমি এই ব্লগের আরও একটা পার্ট ২ নিয়ে আসবো যেখানে তোমাদের করা প্রশ্নের সমাধান গুলো থাকবে।


Abhik Manna

Hii! I'm Abhik Manna. Welcome to my page. I created this page for that friends who want to know about Android Applications, Video Editing, YouTube Tips, Android Secret Tricks, in our sweetest language Bangla.

Previous Post Next Post

Contact Form